بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحْيم

الٓمٓ ١

১।

আলিফ-লাম-মিম।

ذٰلِكَ ٱلْكِتَٰبُ لَا رَيْبَ فِيهِ هُدًۭى لِّلْمُتَّقِينَ ٢


ذٰلِكَ
كِتٰب
কিতাব
لَا
নাই
رَيْبَ
সন্দেহ
فِيهِ
এতে
ذٰلِكَ ٱلْكِتَٰبُ لَا رَيْبَ ۛفِيهِ
এ কিতাবের মধ্যে কোন সন্দেহ নেই
هُدًۭى
হেদায়াতস্বরূপ
لِلْمُتَّقِينَ
মুত্তাকীদের জন্য
বহু বচনে مُتَّقِيْنَ ও مُتَّقُوْنَ; একবচনে مُتَّقِي
هُدًۭى لِّلْمُتَّقِينَ
মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েত স্বরূপ

اَلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ ٣


اَلَّذِينَ
যারা
يُؤْمِنُونَ
ঈমান আনে (বহুবচন)
غَيْبِ
অদ্রিশ্য
اَلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ
যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে
وَ
এবং
وَيُقِيمُونَ
কায়েম করে
الصَّلَاةَ
নামায
مِمَّا
তা থেকে
رَزَقْنَاهُمْ
তাদেরকে রিযিক দিয়েছি
رَزَقْنَا
রিযিক দিয়েছি
يُنفِقُونَ
ব্যয় করে, দান করে
يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ
তারা নামায কায়েম করে
مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
যে রিযিক তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে তারা দান করে

وَٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِٱلْءَاخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ ٤


اَلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ
যারা ঈমান আনে
بِ
হরফে জর
مَآ أُنزِلَ
যা নাযিল করা হয়েছে
إِلَيْكَ
তোমার প্রতি
مِنْ
হতে
قَبْلِكَ
তোমার আগে
قَبْل
আগে, পূর্বে
اٰخِرَة
আখিরাত, পরকাল
هُمْ
তারা, যারা
يُوقِنُونَ
দৃঢ় বিশ্বাস করে
اَلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ
যারা ঈমান আনে
بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ
যা তোমার উপর নাযিল করা হয়েছে
وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ
এবং যা তোমার পূর্বে নাযিল করা হয়েছে
وَبِٱلْءَاخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ
এবং যারা আখিরাতকে নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে

أُولٰئِكَ عَلَىٰ هُدًى مِّن رَّبِّهِمْ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ٥


أُولٰئِك
তারাই, ওই সব লোকই
عَلَىٰ
উপর
هُدًى
হেদায়েত
مِنْ
হতে
رَبِّهِمْ
তাদের রব
رَبِّ
রব, প্রতিপালক, লালন-পালনকারী
الْمُفْلِحُونَ
যারা সফলকাম, বিনয়ী
مُفْلِحُونَ এর একবচন مُفْلِح
أُولٰئِكَ عَلَىٰ هُدًى مِّن رَّبِّهِمْ
তারাই তাদের রব থেকে পাওয়া হেদায়াতের উপর রয়েছে
وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
এবং তারাই সফলকাম

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ ٦


إِنَّ
নিশ্চয়ই
الَّذِينَ كَفَرُوا
যারা কুফরী করেছে, কাফের হয়েছে
سَوَاءٌ
সমান
عَلَيْهِمْ
তাদের উপর
أَنذَرْتَهُمْ
তাদেরকে ভয় দেখিয়েছ
تُنذِرْ
ভয় দেখাও
لَمْ تُنذِرْ
তুমি ভয় দেখাওনি
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا
নিশ্চয়ই যারা কুফরী করে
سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ
তাদের তুমি ভয় দেখাও আর না দেখাও একই কথা
لَا يُؤْمِنُونَ
তারা ঈমান আনবে না।

خَتَمَ اللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ ۖ وَعَلَىٰ أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ ٧


خَتَمَ
মোহর করে দিয়েছেন
عَلَىٰ
উপর
قُلُوبِهِمْ
তাদের কলব
قُلُوبْ
কলবসমূহ, দিল, মন
একবচন قَلْب
سَمْعِهِمْ
তাদের শ্রবণশক্তি
سَمْعِ
শ্রবণ, শোনা
এখানে কান বুঝানো হয়েছে
أَبْصَار
দৃষ্টিশক্তি
একবচনে بَصَر; অর্থাৎ কোনো কিছু দেখা, এখানে চোখ বুঝানো হয়েছে।
غِشَاوَة
আবরণ, পর্দা
لَهُمْ
তাদের জন্য রয়েছে
عَذَاب
আযাব, শাস্তি
عَظِيم
মহা
خَتَمَ اللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْ
আল্লাহ মন ও কানের উপর মোহর করে দিয়েছেন, মোহর করার এখানে অর্থ হল তাদের মন দিয়ে তারা সত্যকে বুঝানো এবং কান দিয়ে তারা স্বত্ব কথা শুনবেনা
وَعَلَىٰ أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ
এবং তাদের দৃষ্টিশক্তির উপর রয়েছে পর্দা, অর্থন তারা তাদের চোখ দিয়ে স্বত্ব জিনিস দেখে না
وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আযাব

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَا هُم بِمُؤْمِنِينَ ٨


وَ
এবং
مِنَ
থেকে
النَّاس
মানুষ
مَنْ
যে
يَقُولُ
বলে
اٰمَنَّا
আমরা ঈমান আনলাম
اِللَّهِ
আল্লাহর প্রতি
اَلْيَوْمِ الْاٰخِرَ ة
পরকাল
مَا
নয়
هُم
তারা
بِ
হরফে জর
مُؤْمِنِيْنَ
মোমেনগন
একবচন مُؤْمِن
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ
মানুষের মধ্য থেকে (কতক লোক আছে) যারা বলে আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি
وَمَا هُم بِمُؤْمِنِينَ
আসলে তারা ঈমানদার নয়

يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّا أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ ٩


يُخَادِعُونَ
তারা ধোঁকা দেয়
يُخَادِعُونَ اللَّهَ
তারা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়
অর্থাৎ মুনাফিকরা ধারণা করে যে তারা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়
اَلَّذِينَ آمَنُوْا
যারা ঈমান এনেছে অর্থাৎ ঈমানদারগণ
إِلَّا
ছাড়া
أَنْفُسَهُمْ
তাদের নিজেদেরকে
مَا يَشْعُرُونَ
তারা অনুভব করতে পারে না
يَشْعُرُ
অনুভব করে
يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَالَّذِينَ آمَنُوْا
তারা আল্লাহ ও ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়
وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّا أَنفُسَهُمْ
আসলে এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দিচ্ছেনা

فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَهُمُ اللَّهُ مَرَضًا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ بِمَا كَانُوا يَكْذِبُونَ ١٠


فِي
মধ্যে
قُلُوبِهِم
তাদের হৃদয়ের মধ্যে
قُلُوْب
এক বচনে
قَلْب
অর্থাৎ মন, হৃদয়
مَرَضٌ
রোগ
فَ
অতঃপর
زَادَ
বাড়িয়ে দিলেন
مَرَضًا
রোগ
لَهُمْ
তাদের জন্য
عَذَاب
আযাব
أَلِيْم
ব্যথাদায়ক, কষ্টদায়ক
يَكْذِبُونَ
তারা মিথ্যা বলে
كَانُوا
ছিল
فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ
তাদের মনের মধ্যে রয়েছে রোগ
وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
অতঃপর আল্লাহ তাদের রোগ দিলেন
بِمَا كَانُوا يَكْذِبُونَ
এবং তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক আজাব
যেহেতু তারা মিথ্যা কথা বলতেছিল

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ قَالُوا إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ ١١


إِذَا
যখন
قِيلَ
বলা হল
إِذَا قِيلَ
যখন বলা হয়
لَهُمْ
তাদেরকে
لَا تُفْسِدُوا
ফাসাদ সৃষ্টি করোনা
فِي
মধ্যে
أَرْضِ
পৃথিবী, জমিন
قَالُوا
তারা বলল
একবচনে قَالَ
إِنَّمَا
বরং
نَحْنُ
আমরা
مُصْلِحُونَ
সংশোধনকারী, মীমাংসাকারী, শান্তি স্হাপনাকারী (বহুবচন)
একবচনে مُصْلِح
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ
এবং যখন তাদেরকে বলা হয়
لَا تُفْسِدُوا فِي
তোমরা পৃথিবীতে ফাসাদ করোনা
قَالُوا إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ
তারা বলে, আমরাইতো সংশোধনকারী

أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ الْمُفْسِدُونَ وَلٰكِن لَّا يَشْعُرُونَ ١٢


أَلَا
সাবধান
إِنَّهُمْ
তারা নিশ্চয়
هُمُ
তারা, যারা
مُفْسِدُونَ
ফাসাদ সৃষ্টিকারী (বহুবচন)
এক বচনে مُفْسِد
لٰكِنْ
কিন্তু
لَّا يَشْعُرُونَ
তারা অনুভব করে না (বহুবচন)
একবচনে يَشْعُرُ
أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ الْمُفْسِدُونَ
সাবধান
এরাই ফাসাদ সৃষ্টিকারী

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاءُ ۗ أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاءُ وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ ١٣


وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ
এবং যখন তাদেরকে হয়
اٰمِنُوْ
তোমরা ঈমান আন (বহুবচন)
একবচনে آمِنْ
كَمَا
যেমন
اٰمَنَ
ঈমান এনেছে
لنَّاسُ
লোকেরা
قَالُوْ
তারা বলল
أَنُؤْمِنُ
আমরা কি ঈমান আনব?
أَ
কি?
سُّفَهَاءُ
বোকারা (বহুবচন)
একবচনে سِفْه অর্থাৎ বোকা
لَا يَعْلَمُونَ
তারা জানেনা (বহুবচন)
একবচনে يَعْلَمُ অর্থাৎ জানে,
إِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُو
যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরাও ঈমান আন
كَمَا آمَنَ النَّاسُ
যেমন ঈমান এনেছে অন্নান্ন লোকেরা
قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاءُ
তারা বলে: আমরা কি ঈমান আনব যেমন ঈমান এনেছে বোকা লোকেরা
أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاءُ
সাবধান, আসলে এরাই বোকা
وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ
কিন্তু তা তারা বুঝতে পারে না

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاءُ ۗ أَلَوَإِذَا لَقُوا الَّذِينَ آمَنُوا قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا إِلَىٰ شَيَاطِينِهِمْ قَالُوا إِنَّا مَعَكُمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِئُونَ ١٤


لَقُوْا
মিলিত হল, সাক্ষাৎ করল (বহুবচন)
একবচনে لَقِىَ
إِذَا لَقُوْا
যখন মিলিত হয় বা সাক্ষাৎ করে
الَّذِينَ آمَنُوْا
যারা ঈমান এনেছে, ঈমানদারগণ
اٰمَنَّا
আমরা ঈমান আনলাম
خَلَوْا
তারা একাকী হল (বহুবচন)
একবচনে خَلَ,
إِذَا خَلَوْا
যখন তারা একাকী হয়
إِلَى
দিকে,
شَيَاطِينِهِمْ
তাদের শয়তানসমূহ
বহুবচনে شَيَطِينَ, একবচনে شَيْطَان
إنَّا
নিশ্চয় আমরা
مَعَكُمْ
তোমাদের সাথে
مَعَ
সাথে, সঙ্গে
إِنَّمَا
বরং, শুধুমাত্র
نَحْنُ
আমরা
مُسْتَهْزِئُونَ
ঠাট্টাকারী, বিদ্রূপকারী (বহুবচন)
একবচনে مُسْتَهْزِئ
وَإِذَا لَقُوا الَّذِينَ آمَنُوا
যখন তারা ঈমানদারদের সাথে মিলিত হয়
قَالُوا آمَنَّا
তারা বলে: আমরা ঈমান এনেছি
وَإِذَا خَلَوْا إِلَىٰ شَيَاطِينِهِمْ
আর যখন তাদের শয়তানদের সাথে একাকী গোপনে মিলিত হয়
قَالُوا إِنَّا مَعَكُمْ
তখন তারা বলে, আমরা তোমাদের সাথেই আছি
إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِئُونَ
আমরা তো শুধু তাদের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করি

اللَّهُ يَسْتَهْزِئُ بِهِمْ وَيَمُدُّهُمْ فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ ١٥


اللَّهُ يَسْتَهْزِئُ
আল্লাহই ঠাট্টা করেন
بِهِمْ
তাদের সাথে
يَمُدُّ
বাড়িয়ে দিচ্ছে, লম্বা করে দিচ্ছে, ঢিল দিচ্ছে
طُغْيَان
অপরাধ ও পাপকাজে সীমালঙ্ঘন করা
يَعْمَهُونَ
(ভুলের মধ্যে পড়ে) তারা অস্থির হয়ে ঘুরাফেরা করছে
اللَّهُ يَسْتَهْزِئُ بِهِمْ
আল্লাহই তাদের সাথে ঠাট্টা করেন
وَيَمُدُّهُمْ فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ
এবং তাদেরকে পাপকাজে সীমালঙ্ঘন করার সুযোগ বাড়িয়ে দিলেন যেন ভুলের মধ্যে পরে অস্থির হয়ে ঘুরাফেরা করতে থাকে

أُولٰئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الضَّلَالَةَ بِالْهُدَىٰ فَمَا رَبِحَت تِّجَارَتُهُمْ وَمَا كَانُوا مُهْتَدِينَ ١٦


أُوْلٰئِكَ
তারা ঐ লোক
الَّذِينَ
যারা
اشْتَرَوُا
কিনেছে
একবচনে اشْتَرَىَ
الضَّلَالَة
ভুল পথ
بِالْهُدَى
হেদায়েতের বদলে
هُدَى
হেদায়েত,
أُولٰئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الضَّلَالَةَ بِالْهُدَى
তারা ঐ লোক যারা হেদায়েতের বিনিময়ে ভুলপথ কিনে নিয়েছে
فَ
অতএব
مَا
না
رَبِحَتْ
লাভ হল
مَا رَبِحَتْ
লাভ হয়নি
تِّجَارَتُهُمْ
তাদের ব্যবসা
تِجَارَت
ব্যবসা
فَمَا رَبِحَت تِّجَارَتُهُمْ
অতএব তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়নি
كَانُوا
তারা ছিল
مَا كَانُوا
তারা ছিলনা
مُهْتَدِينَ
হেদায়েতের প্রাপ্ত (বহুবচন)
একবচনে مُهْتَدِى

مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ الَّذِي اسْتَوْقَدَ نَارًا فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حَوْلَهُ ذَهَبَ اللَّهُ بِنُورِهِمْ وَتَرَكَهُمْ فِي ظُلُمَاتٍ لَّا يُبْصِرُونَ ١٧


مَثَلُهُمْ
তাদের উদাহরণ
مَثَل
উদাহরণ
كَ
মত
كَمَثَلِ
উদাহরণের মত
الَّذِي
যে
اسْتَوْقَدَ
আগুন জ্বালাল
نَار
আগুন
مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ الَّذِي اسْتَوْقَدَ نَارًا
তাদের উদাহরণ এক বেক্তির উদাহরণের মতো যে আগুন জ্বালাল
فَلَمَّا
যখন
أَضَاءَتْ
আলোকিত করল, ফর্সা হয়ে গেল
مَا
যা
حَوْلَهُ
তার চারিপাশ
حَوْل
চারিপাশ, চতুর্দিক
فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حَوْلَهُ
এরপর কখন তার জারদিকে যা আছে তা আলোতে ফর্সা হয়ে গেল
ذَهَبَ
গেল
لُوْر
আলো
ذَهَبَ اللَّهُ بِنُورِهِمْ
আল্লাহ তাদের আলো নিয়ে গেলেন
تَرَكَهُمْ
তাদেরকে ফেলে রাখলেন
تَرَكَى
ত্যাগ করল, ফেলে রাখল
ظُلُمَاتٍ
অন্ধকার (বহুবচন)
একবচনে ظُلْمَة
لَا
না
يُبْصِرُونَ
তারা দেখে
لَا يُبْصِرُونَ
তারা দেখতে পায়না
وَتَرَكَهُمْ فِي ظُلُمَاتٍ لَّا يُبْصِرُونَ
এবং তারদেরকে অন্ধকারে ফেলে রাখলেন, ফলে তারা কিছুই দেখতে পায়না

صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ ١٨


صُمٌّ
কানে শোনেনা, বধির
بُكْمٌ
বোবা, কথা বলতে পারে না
عُمْيٌ
অন্ধ, চোখে দেখেনা
لَا يَرْجِعُونَ
তারা ফিরে আসে না বা আসবেনা
صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ
তারা কানে শোনেনা, বোবা, অন্ধ, অথবা তারা ফিরে আসবে না
(তারা কানে শোনেনা অর্থ তারা ভাল কথা শুনতে চায়না, বোবা অর্থ তাদের উপকারী কথা তারা বলতে চায়না এবং অন্ধ অর্থ তারা সত্যকে তারা দেখতে চায়না, অনুসরণ করতে চায়না।)

أَوْ كَصَيِّبٍ مِّنَ السَّمَاءِ فِيهِ ظُلُمَاتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِم مِّنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الْمَوْتِ ۚ وَاللَّهُ مُحِيطٌ بِالْكَافِرِينَ ١٩


أَوْ
অথবা, কিংবা
كَ
মত
صَيِّب
মুজলধারে বৃষ্টি, প্রচুর বৃষ্টি
مِنْ
হ’তে, থেকে
سَمَاء
আকাশ
فِيهِ
এতে
ظُلُمَات
অন্ধকার
رَعْد
গর্জন, বজ্রধ্বনি
وَبَرْقٌ
বিদ্যুৎ-চমক,
أَوْ كَصَيِّبٍ مِّنَ السَّمَاءِ فِيهِ ظُلُمَاتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ
অথবা আকাশের মূলধারের বৃষ্টির মত যাতে থাকে অন্ধকার, গর্জন ও বিদ্যুচমক
يَجْعَلُونَ
তারা করে (বহুবচন)
এক বচনে يَجْعَلُ
أَصَابِع
আঙ্গুল সমূহ (বহুবচন) একবচনে أَصِبْعَ
آذَان
কানসমূহ (বহুবচনে)
একবচনে اُذْنٌ
صَوَاعِق
বিদ্যুতের চমক ও বজ্রধ্বনি
একবচনে صَاعِقَة
حَذَر
ভয়
مَوْت
মৃত্যু
مُحِيطٌ
ঘিরে রেখেছেন, পরিবেষ্টন করে আছেন
بِالْكَافِرِين
কাফেরদেরকে
يَجْعَلُونَ أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِم مِّنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الْمَوْتِ
গর্জনের বিকট আওয়াজে মৃত্যর ভয়ে তারা তাদেরকে কানের মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাখে
وَاللَّهُ مُحِيطٌ بِالْكَافِرِينَ
আল্লাহ কাফেরদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে রেখেছেন

يَكَادُ الْبَرْقُ يَخْطَفُ أَبْصَارَهُمْ ۖ كُلَّمَا أَضَاءَ لَهُم مَّشَوْا فِيهِ وَإِذَا أَظْلَمَ عَلَيْهِمْ قَامُوا ۚ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَذَهَبَ بِسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ٢٠


يَكَادُ
নিকটবর্তী হয়
بَرْقُ
বিদ্যুচ্চমক
يَخْطَفُ
কেড়ে নেয়, হরণ করে, ছিনিয়ে নেয়
أَبْصَارَهُمْ
তাদের দৃষ্টিশক্তি
أَبْصَار
দৃষ্টিশক্তি (বহুবচন) একবচনে بصَرَ
كُلَّمَا
যখনই যতবার
أَضَاءَ
আলোকিত হল, ফর্সা হল
لَهُم
তাদের
مَشَوْا
তারা হাঁটল
একবচনে সাথে مَشَو
فِيهِ
এতে
অর্থাৎ আলোতে
يَكَادُ الْبَرْقُ يَخْطَفُ أَبْصَارَهُمْ
বিদ্যুচ্চমক তাদের এতই নিকটবর্তী হয় যেন তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়
كُلَّمَا أَضَاءَ لَهُم مَّشَوْا فِيهِ
যতবার আলো এসে তাদের সামনে একটু ফর্সা হয় তারা তখন হাটতে থাকে
أَظْلَم
অন্ধকার হল
وَإِذَا أَظْلَمَ
এবং যখন অন্ধকার হয়ে যায়
عَلَيْهِمْ
তাদের উপর
قَامُوا
তারা দাঁড়িয়ে গেল (বহুবচনের সাথে)
একবচনে সাথে قَامَ
وَإِذَا أَظْلَمَ عَلَيْهِمْ قَامُوا
আবার যখন অন্ধকার এসে তাদের উপর চেয়ে যে তারা তখন দাঁড়িয়ে থাকে
لَوْ
যদি
شَاءَ
চাইল, চাইতেন, ইচ্ছা করতেন
ذَهَبَ
গেল
ذَهَبَ بِ
নিয়ে গেল
سَمْع
শ্রবণ শক্তি
سَمْعِهِم
তাদের শ্রবণ শক্তি
أَبْصَار
দৃষ্টিশক্তি সমূহ
একবচনে بَصَر
وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَذَهَبَ بِسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ
এবং আল্লাহ চাইলে তাদের শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি নিয়ে যেতে পারেন
إِنَّ
নিশ্চয়
عَلَىٰ
উপর
كُلِّ
সব, সমস্ত
شَيْء
কিছু, জিনিস
كُلِّ شَيْء
সব কিছু
قَدِيرٌ
শক্তিশালী
إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিশালী

يَا أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ٢١


يَا أَيُّهَا
হে
النَّاسُ
মানুষ
اعْبُدُوا
তোমরা ইবাদাত কর
একবচনের সাথে اُعْبُدْ
رَبَّ
রব লালন পালনকারী
رَبَّكُمْ
তোমাদের রব
الَّذِي
যিনি
خَلَقَ
সৃষ্টি করেছেন
خَلَقَكُمْ
তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন
اَلَّذِينَ
যাদেরকে
একবচনে اَلَّذِيْ
مِنْ
থেকে
قَبْل
আগে
قَبْلِكُمْ
তোমাদের আগের
لَعَلَّكُمْ
সম্ভবত, যেন, আশা করা যায়
تَتَّقُونَ
তোমরা তাকওয়া অর্জন কর
একবচনের সাথে تَتَّقِى
يَا أَيُّهَا
হে মানুষ
اُعْبُدُوا رَبَّكُمُ
তোমরা তোমাদের রবের ইবাদাত কর
اَلَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ
যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে
لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
সম্ভবত: এতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে

الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ فِرَاشًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً وَأَنزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَّكُمْ ۖ فَلَا تَجْعَلُوا لِلَّهِ أَندَادًا وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ ٢٢


الَّذِي
যিনি
جَعَلَ
করলেন
لَكُمْ
তোমাদের জন্য
أَرْض
ভূমি, মাটি
فِرَاش
বিছানা
سَمَاء
আকাশ
بِنَاء
ছাদ
الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ فِرَاشًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً
যিনি তোমাদের জন্য বিছানা আর আকাশকে ছাদ স্বরূপ বানিয়ে দিয়েছেন
أَنزَلَ
বর্ষণ করলেন
مِنْ
হতে
السَّمَاء
আকাশ
مَاءً
পানি
وَأَنزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً
এবং আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করলেন
أَخْرَجَ
বের করলেন
بِهِ
এর দ্বারা
الثَّمَرَات
ফলসমূহ
একবচনে ثَمَرَت
رِزْق
রিযিক
لَكُمْ
তোমাদের জন্য
فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَّكُمْ
তারপর এ দ্বারা নানা প্রকার ফলসমূহ উৎপন্ন করেছেন তোমাদের রিযিক হিসাবে
فَ
অতএব
لَا
না
لَا تَجْعَلُوا
করেনা
أَندَاد
সমতুল্য, শরিক (বহুবচন)
أَنتُمْ
তোমরা
تَعْلَمُونَ
তোমরা জান
فَلَا تَجْعَلُوا لِلَّهِ أَندَادًا وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
অতএব তোমরা জেনে শুনে কাউকে আল্লাহর সমতুল্য করোনা, অর্থাৎ আল্লাহর সাথে শরীক করো না

وَإِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّمَّا نَزَّلْنَا عَلَىٰ عَبْدِنَا فَأْتُوا بِسُورَةٍ مِّن مِّثْلِهِ وَادْعُوا شُهَدَاءَكُم مِّن دُونِ اللَّهِ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ ٢٣


إِن كُنتُمْ
যদি তোমরা হও
رَيْبٍ
সন্দেহ
مِنْ+مَا – مِمَّا
مِنْ
হতে
مَا
যা
مَا نَزَّلْنَا
যা নাযিল করেছি
عَلَىٰ
উপর
عَبْدِ
বান্দাহ, দাস
عَبْدِنَا
আমার বান্দাহ
إِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ
যদি তোমরা সন্দিহান হও
مِّمَّا نَزَّلْنَا عَلَىٰ عَبْدِنَا
যা আপনার বান্দার প্রতি নাযিল করেছি
أَتُوْا
তোমরা আস
أَتُوْا بِ
তোমরা আন
سُورَة
সূরা
مِثْل
মত
فَأْتُوا بِسُورَةٍ
একটা সূরা নিয়ে আস
مِنْ مِّثْلِهِ
এর মত
ادْعُو
তোমরা ডাক
شُهَدَاءَكُم
তোমাদের সাহায্যকারীরা
شُهَدَاء
সাহায্যকারীরা
একবচনে شَهِد
دُونِ
ছাড়া, ব্যতীত
مِّن دُونِ اللَّهِ
আল্লাহ ছাড়া
إِن كُنتُمْ
যদি তোমরা হও
صَادِقِينَ
সত্যবাদী (বহুবচন)
একবচনে صَادِق
إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
যদি তোমরা সত্যবাদী হও

فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا وَلَن تَفْعَلُوا فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِي وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ ۖ أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِينَ ٢٤


تَفْعَلُوا
তোমরা কর
এখানে অর্থ হবে তোমরা পারো
فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا
আর যদি তা না পারো
اَنْ تَفْعَلُوا
তোমরা ভবিষ্যতেও পারবে না, কক্ষনো পারবেনা
বর্তমান কালের ক্রিয়াপদের সাথে অতীত কালের ‘না’ বুঝতে হলে এর আগে لَمْ এবং ভবিষৎ কালের ‘না’ বুঝতে হলে এর আগে لَنْ বসে, এ ক্ষেত্রের ভবিষৎ কালের ‘না’ টা নিশ্চয়তাবোধক
اِتَّقُوْا
তোমরা ভয় কর
نَا
আগুন
اِلَّتِي
যা
وَقُودُ
লাকড়ি, খড়ি
وَقُودُهَا
এর লাকড়ি
نَاس
মানুষ
حِجَارَة
পাথর
فَاتَّقُوا النَّارَ
অতএব আগুনকে ভয় কর
نَّاسُ وَالْحِجَارَةُ
যার লাকড়ি হবে মানুষ ও পাথর
أُعِدَّتْ
প্রস্তুত করা হয়েছে
لِلْكَافِرِينَ
কাফেরদের জন্য

وَبَشِّرِ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ۖ كُلَّمَا رُزِقُوا مِنْهَا مِن ثَمَرَةٍ رِّزْقًا ۙ قَالُوا هَٰذَا الَّذِي رُزِقْنَا مِن قَبْلُ ۖ وَأُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا ۖ وَلَهُمْ فِيهَا أَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ ۖ وَهُمْ فِيهَا خَالِدُونَ ٢٥


بَشِّرِ
সুসংবাদ দাও
الَّذِينَ آمَنُوا
যারা ঈমান এনেছে
عَمِلُوا
আমল করেছে
صَّالِحَاتِ
নেককাজ
عَمِلُوا الصَّالِحَاتِ
নেক কাজ করেছে
أَنَّ
নিশ্চয়
لَهُمْ
তাদের জন্য
جَنَّاتٍ
বেহেস্ত
تَجْرِي
প্রবাহিত হয়
تَحْتِ
নীচে
مِن تَحْتِهَا
এর নীচে দিয়ে
أَنْهَارُ
নদীসমূহ
একবচনে نَهْر
وَبَشِّرِ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ
যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তাদের সুসংবাদ বাদ দাও
أَنَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ
তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হচ্ছে
كُلَّمَا
যখনই
رُزِقُوا
রিযিক দেয়া হল
مِنْهَا
তা থেকে
ثَمَرَةٍ
ফল
رِزْقًا
রিযিক হিসেবে
كُلَّمَا رُزِقُوا مِنْهَا مِن ثَمَرَةٍ رِّزْقًا
যখনই খাবার হিসেবে তাদেরকে ফল দেয়া হবে
قَبْلُ
আগে
قَالُوا هَٰذَا الَّذِي رُزِقْنَا مِن قَبْلُ
তখন তারা বলবে
এতো সেই ফলই যা আমাদেরকে রিযিক হিসেবে ইতিপূর্বে দেয়া হয়েছিল
وَأُتُوا
দেয়া হবে
مُتَشَابِهًا
একই ধরণের
لَهُمْ
তাদের জন্য;
فِيهَا
সেখানে
أَزْوَاجٌ
স্ত্রী সমূহ
একবচনে زَوْج
مُّطَهَّرَةٌ
পবিত্র
অর্থাৎ হায়েয, নিফাছ, প্রস্রাব, পায়খানা, ময়লা ও অসৎ ব্যবহার এসব থেকে তারা পবিত্র থাকবে, এবং দুনিয়ার মুমিন মেয়েরা বেহেশতের হুরদের চেয়েও সেখানে বেশি সুন্দরী থাকবে
هُمْ
তারা
خَالِدُونَ
চিরস্থায়ী
وَلَهُمْ فِيهَا أَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ
তাদের জন্য সেখানে রয়েছে পবিত্র স্ত্রী
وَهُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
এবং তারা সেখানে সিরিডিন থাকবে

إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي أَنْ يَضْرِبَ مَثَلًا مَا بَعُوضَةً فَمَا فَوْقَهَا فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ وَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَيَقُولُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَذَا مَثَلًا يُضِلُّ بِهِ كَثِيرًا وَيَهْدِي بِهِ كَثِيرًا وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلَّا الْفَاسِقِينَ ٢٦

২৬।

আল্লাহ তাআলা মশা কিংবা এর চেয়েও ক্ষুদ্র কোন জিনিস দ্বারা উদাহরণ পেশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। কাজেই যারা ঈমান এনেছে তারা জানে এ (উদাহরণ) সত্য- এটা তাদের রবের নিকট থেকে এসেছে। আর যারা কুফুরী করেছে তারা বলে আল্লাহ এ উদাহরণ দিয়ে কি বুঝাতে চাইলেন? অথচ এরূপ (উদাহরণ৩) দিয়ে আল্লাহ অনেককে বিভ্রান্ত করেন এবং অনেককে হেদায়াত করেন। এভাবে তিনি ফাসেকদের ছাড়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করেন না।


إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي أَنْ يَضْرِبَ مَثَلًا مَا بَعُوضَةً فَمَا فَوْقَهَا
আল্লাহ তাআলা মশা কিংবা এর চেয়েও ক্ষুদ্র কোনো জিনিস দ্বারা উদাহরণ পেশ করতে লজ্জাবোধ করেন না।
فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا
কাজেই যারা ঈমান এনেছে
فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ
তারা জানে এ (উদাহরণ) সত্য- তাদের রবের নিকট থেকে এসেছে।

وَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُوا
আর যারা কুফুরী করে
فَيَقُولُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَذَا مَثَلًا
তারা বলে, আল্লাহ এ উদাহরণ দিয়ে কি বুঝাতে চাইলেন?
يُضِلُّ بِهِ كَثِيرًا
অথচ এরূপ (উদাহরণ৩) দিয়ে আল্লাহ অনেককে বিভ্রান্ত করেন
وَيَهْدِي بِهِ كَثِيرًا
এবং অনেককে হেদায়াত করেন।

وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلَّا الْفَاسِقِينَ
এভাবে তিনি ফাসেকদেরকে ছাড়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করেন না।

لَا يَسْتَحْيِي
লজ্জাবোধ করেন না
يَسْتَحْيِي
লজ্জাবোধ করে
أَنْ يَضْرِبَ
উদাহরণ দিতে
يَضْرِبَ
উদাহরণ পেশ করে
مَثَلًا
উদাহরণ স্বরুপ
مَثَل
উদাহরণ
مَا
যা
بَعُوضَةً
মশা
فَ
এমনকি
مَا
যা
فَوْقَهَا
এর উর্ধে
فَوْقَ
উর্ধে
فَأَمَّا
কাজেই
الَّذِينَ
যারা
آمَنُوا
ঈমান এনেছে
آٰمَنَ
এক বচনের সাথে
يَعْلَمُونَ
তারা জানে
أَنَّهُ
নিশ্চয় এটা
الْحَقُّ
সত্য
حَقُّ
সত্য
مِنْ
হতে
رَبِّهِمْ
তাঁদের রব
وَ
এবং
أَمَّا
আর
الَّذِينَ كَفَرُوا
যারা কুফুরী করে
يَقُولُونَ
তারা বলে
مَاذَا
কি?
أَرَادَ
চাইল
بِهَذَا
এটা দ্বারা
يُضِلُّ
বিভ্রান্ত করেন
يَهْدِي
করেন হেদায়াত
بِهِ
এভাবে
كَثِيرًا
অনেককে
فَسِقِينَ
ফাসেক লোকেরা

الَّذِينَ يَنْقُضُونَ عَهْدَ اللَّهِ مِنْ بَعْدِ مِيثَاقِهِ وَيَقْطَعُونَ مَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ أَنْ يُوصَلَ وَيُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ أُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ ٢٧

২৭।

যারা আল্লাহর সাথে শক্তভাবে ওয়াদাবদ্ধ হবার পর সেই ওয়াদা ভঙ্গ করে এবং যে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন তা তারা ছিন্ন করে এবং যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে, তারাই (আসল) ক্ষতিগ্রস্ত।


الَّذِينَ يَنْقُضُونَ عَهْدَ اللَّهِ مِنْ بَعْدِ مِيثَاقِهِ
যারা আল্লাহর সাথে শক্তভাবে ওয়াদাবদ্ধ হবার পর সেই ওয়াদা ভঙ্গ করে
وَيَقْطَعُونَ مَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ أَنْ يُوصَلَ
এবং সে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন তা তারা ছিন্ন করে

وَيُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ
এবং যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে,
أُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ
তারাই (আসল) ক্ষতিগ্রস্ত।

يَنْقُضُونَ
ওয়াদা ভঙ্গ করে
একবচনের সাথে يَنْقُضُ
عَهْد
ওয়াদা
بَعْد
পরে
مِيثَاق
শক্ত ওয়াদা
يَقْطَعُونَ
ছিন্ন করে
একবচনের সাথে يَقْطَعُ
مَا
যা
أَمَرَ اللَّهُ
আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন
أَنْ يُوصَلَ
সম্পর্ক বজায় রাখতে
يُفْسِدُونَ
ফাসাদ সৃষ্টি করে
একবচনের সাথে يُفْسِدُ
فِي
মধ্যে
أَرْض
পৃথিবী, জমীন
أُولَئِكَ
ঐ সব লোকেরা
هُمُ
তারা
خٰسرون
ক্ষতিগ্রস্ত (বহুবচন)
একবচনে خَاسِر

كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَكُنْتُمْ أَمْوَاتًا فَأَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ ٢٨

২৮।

তোমরা কিভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করছো, অথচ তোমরা ছিলে মৃত (অস্তিত্বহীন), তারপর তিনি তোমাদেরকে (সৃষ্টি করলেন) জীবন দিলেন। অত:পর তিনি তোমাদেরকে মৃত্যুবরণ করাবেন, এরপর আবার তোমাদেরকে জীবিত করবেন। সবশেষে তাঁর কাছে তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।


كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِاللَّهِ
তোমরা কিভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করছো?
وَكُنْتُمْ أَمْوَاتًا فَأَحْيَاكُمْ
অথচ তোমরা ছিলে মৃত (অস্তিত্বহীন), তারপর তিনি তোমাদেরকে জীবন দিলেন।
ثُمَّ يُمِيتُكُمْ
অত:পর তিনি তোমাদেরকে মৃত্যুবরণ করাবেন,
ثُمَّ يُحْيِيكُمْ
এরপর আবার জীবিত করবেন।
ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُون
সবশেষে তাঁর কাছে তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।

تَكْفُرُونَ
তোমরা কুফুরী করছ। একবচনের সাথে تَكْفُرُ; অর্থাৎ অস্বীকার করছ
بِاللَّهِ
আল্লাহকে
كُنْتُمْ
তোমরা ছিলে (তুমি ছিলে-كُنْتَ)
أَمْوَاتًا
মৃত (বহুবচন), একবচনে مَيِّت
فَ
অতঃপর
أَحْيَاكُمْ
তোমাদেরকে জীবন দিলেন
ثُمَّ
তারপর
يُمِيتُكُمْ
তোমাদেরকে মৃত্যুবরণ করাবেন
يُحْيِيكُمْ
তোমাদেরকে জীবিত করবেন
إِلَيْهِ
তাঁর দিকে
تُرْجَعُون
তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে

هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ٢٩

২৯।

তিনি সেই সত্তা যিনি তোমাদের জন্য (তোমাদের খেদমতে) পৃথিবীর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করলেন, এরপর (স্তরে স্তরে) সাতটি আসমান তৈরি করলেন। আর তিনি সবকিছু জানেন।


هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا
তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।
ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ
তারপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন।

فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ
এরপর (স্তরে স্তরে) সাতটি আসমান তৈরি করলেন-
وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيم
আর তিনি সবকিছু জানেন।

الَّذِي
যিনি
خَلَقَ
সৃষ্টি করেছেন
لَكُمْ
তোমাদের জন্য
مَا
যা
فِي
মধ্যে
أَرْضِ
পৃথিবী
جَمِيعًا
সবকিছু
ثُمَّ
তারপর
اسْتَوَى
মনোনিবেশ করলেন
إِلَى
দিকে
ﺳَﻣﺎَﺀ
আকাশ
فَ
তারপর
سَوَّاهُنَّ
তা তৈরি করলেন
سَبْع
সাত
سَبْعَ سَمَاوَاتٍ
সাত আসমান
كُلِّ
সব
شَيْءٍ
কোন কিছু
بِكُلِّ شَيْءٍ
সবকিছুতে
عَلِيمٌ
অবহিত

وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ ٣٠

৩০।

স্মরণ কর সে সময়ের কথা যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বলেছিলেন, আমি পৃথিবীতে খলিফা (আদম) সৃষ্টি করতে চাই। তারা বলল, তুমি কি (দুনিয়াতে) এমন একটি (জাতি) সৃষ্টি করবে যারা সেখানে ফাসাদ সৃষ্টি করবে? এবং রক্তপাত করবে? অথচ আমরা তোমার প্রশংসা সহকারে তোমার তাসবিহ পাঠ করি এবং তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি। (আল্লাহ) বলেন আমি যা জানি তোমরা তা জানো না।


وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ
স্মরণ কর সে সময়ের কথা যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বলেছিলেন,
إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً
আমি পৃথিবীতে খলিফা (আদম৩) সৃষ্টি করতে চাই।

قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ
তারা বলল, তুমি কি (দুনিয়াতে৩) এমন একটি (জাতি১) সৃষ্টি করবে যারা সেখানে ফাসাদ সৃষ্টি করবে? এবং রক্তপাত করবে?

وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ
অথচ আমরা তোমার প্রশংসা সহকারে তোমার তাসবিহ পাঠ করি এবং তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি।
قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ
(আল্লাহ) বলেন, আমি যা জানি তোমরা তা জানো না।

إِذْ = ظرف زمان
(إِذ) ভবিষ্যত কালের সাথে আসলে অতীত কালের অর্থ বুঝায় এবং (إِذا) অতীত কালের সাথে আসলে ভবিষ্যত কালের অর্থ বুঝায়
قَالَ
বলল
رَبُّكَ
তোমার রব
لِلْمَلَائِكَةِ
ফেরেশতাদেরকে
إِنِّي
নিশ্চয় আমি
جَاعِلٌ
সৃষ্টিকারী
فِي الْأَرْضِ
পৃথিবীতে
خَلِيفَةً
প্রতিনিধি
قَالُوا
তারা বলল (অর্থাৎ ফেরেশতাগণ)
أَ
কি?
تَجْعَلُ
তুমি করবে, সৃষ্টি করবে
أَتَجْعَلُ
তুমি কি করবে? তুমি কি সৃষ্টি করবে?
فِيهَا
এতে (অর্থাৎ দুনিয়াতে)
مَنْ
যে, যারা
يُفْسِدُ
ফাসাদ সৃষ্টি করবে
يَسْفِكُ
রক্তপাত করবে
دِماَء
রক্ত
نَحْنُ
আমরা
نُسَبِّحُ
আমরা তাসবিহ পাঠ করি
بِحَمْدِكَ
তোমার প্রশংসাসহ
حَمْد
প্রশংসা
نُقَدِّسُ
আমরা পবিত্রতা বর্ণনা করি
لَكَ
তোমার জন্য
قَالَ
তিনি বললেন
أَعْلَمُ
আমি জানি
لَا تَعْلَمُونَ
তোমরা জানো না

وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَؤُلَاءِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ ٣١

৩১।

আর আদমকে (আল্লাহ) সব জিনিসের নাম শিখিয়ে দিলেন। তারপর ফেরেশতাদের সামনে সেই (নাম)গুলো পেশ করলেন। অতঃপর (আল্লাহ) বললেন, তোমরা আমাকে এসব জিনিসের নাম বলতো যদি তোমরা সত্যবাদী হও।

[অর্থাৎ জমিনে খেলাফতের দায়িত্ব পালনের জন্য মানুষের চেয়েও ফেরেশতাদের অগ্রাধিকার- বলে তোমাদের এমন দাবি করা সত্য হলে এ জিনিসগুলোর নাম বল]


وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَ
আর আদমকে (আল্লাহ) সব জিনিসের নাম শিখিয়ে দিলেন।
ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ
তারপর ফেরেশতাদের সামনে সেই (নাম৩)গুলো পেশ করলেন।
فَقَالَ أَنْبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَؤُلَاءِ
অতঃপর (আল্লাহ) বললেন, তোমরা আমাকে এসব জিনিসের নাম বলতো
إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
যদি তোমরা সত্যবাদী হও।

آدَمَ
আদম আলাইহিছছালাম
أَسْمَاءَ
নামসমূহ (বহুবচন), একবচনে إِسْمَ
كُلَّ
সব
كُلَّهَا
এ সব
ثُمَّ
তারপর
عَرَضَهُمْ
এগুলোকে পেশ করলেন
عَرَضَ
পেশ করলেন
الْمَلَائِكَةِ
ফেরেশতাগণ
فَ
তারপর
قَالَ
বললেন
أَنْبِئُونِي
তোমরা আমাকে বলে দাও।
هَؤُلَاءِ
এ সব জিনিসের
صَادِقِينَ
সত্যবাদী (বহুবচন), একবচনে صَادِق

قَالُوا سُبْحَانَكَ لَا عِلْمَ لَنَا إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ ٣٢

৩২।

(উত্তরে ফেরেশতারা) বলল, তুমি পবিত্র। তুমি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছো এর বাইরে আমাদের আর কোন জ্ঞান নাই। নিশ্চয়ই তুমি মহাজ্ঞানী ও হেকমতওয়ালা।


قَالُوا سُبْحَانَكَ
তারা বলল, তুমি পবিত্র।
لَا عِلْمَ لَنَا إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَا
তুমি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছো এর বাইরে আমাদের আর কোন জ্ঞান নাই।
إِنَّكَ أَنْتَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ
নিশ্চয়ই তুমি মহাজ্ঞানী ও হেকমতওয়ালা।

قَالُوا
তারা বলল, একবচনে قَال
سُبْحَانَكَ
তুমি পবিত্র
عِلْمَ
জ্ঞান
لَنَا
আমাদের
إِلَّا
ছাড়া
مَا
যা
عَلَّمْتَنَا
তুমি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছ
إِنَّكَ
নিশ্চয়ই
أَنْتَ
তুমি
عَلِيم
মহাজ্ঞানী
الْحَكِيمُ
অত্যন্ত বেশী হেকমতওয়ালা

قَالَ يَا آدَمُ أَنبِئْهُم بِأَسْمَائِهِمْ ۖ فَلَمَّا أَنبَأَهُم بِأَسْمَائِهِمْ قَالَ أَلَمْ أَقُل لَّكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ غَيْبَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ ٣٣

৩৩।

(আল্লাহ) বললেন, হে আদম! ফেরেশতাদের এসব জিনিসের নাম বলে দাও। অতঃপর আদম যখন তাদেরকে এসব জিনিসের নাম বলে দিল, তখন আল্লাহ বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আসমান ও যমীনের গোপন বিষয় সম্পর্কে আমি জানি এবং আমি তাও জানি যা তোমরা প্রকাশ কর ও গোপন কর।


قَالَ يَا آدَمُ
(আল্লাহ) বললেন, হে আদম!
أَنبِئْهُم بِأَسْمَائِهِم
ফেরেশতাদের এসব জিনিসের নাম বলে দাও।

فَلَمَّا أَنبَأَهُم بِأَسْمَائِهِمْ
অতঃপর আদম যখন তাদেরকে এসব জিনিসের নাম বলে দিল
قَالَ أَلَمْ أَقُل لَّكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ غَيْبَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
তখন আল্লাহ বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আসমান ও যমীনের গোপন বিষয় সম্পর্কে আমি জানি
وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ
এবং আমি তাও জানি যা তোমরা প্রকাশ কর ও গোপন কর।

قَالَ
তিনি বললেন (আল্লাহ বললেন)
يَا آدَمُ
হে আদম!
أَنبِئْهُم
তাদেরকে বলে দাও
أَنبِئ
বল
أَسْمَائِهِمْ
এগুলোর নাম
فَلَمَّا
যখন
أَنبَأَهُم
তাদেরকে বলে দিল
أَقُول
আমি বলি
أَلَمْ أَقُل
আমি কি বলিনি?
لَّكُمْ
তোমাদেরকে
إِنِّي
নিশ্চয়ই আমি
أَعْلَم
আমি জানি
غَيْبَ
গোপনীয় বিষয়
سمَاوَاتِ
আসমানসমূহ, একবচনে سمَاء
أَرْض
যমীন
تُبْدُونَ
তোমরা প্রকাশ কর
تَكْتُمُونَ
তোমরা গোপন কর

পরীক্ষামূলক প্রকাশ

উদ্বোধন: ২২ নভেম্বর ২০১৯ রোজ শুক্রবার

সম্মানিত পাঠকবৃন্দের নিকট সংশোধনী, মতামত, ও পরামর্শ আহ্বান।