কুরআন আল্লাহ পাকের কিতাব। যুগে যুগে বহু মনীষী এ কিতাবের তাফসীর লিখেছেন বিভিন্ন ভাষায়। বাংলা ভাষায়ও কুরআনের তাফসীর বেরিয়েছে। আমাদের দেশে বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ কুরআনের শব্দে শব্দে অর্থ জানতে চায়। কিন্তু এ জাতীয় কোন কিতাব আমাদের সামনে না থাকায় এর অভাব অনুভব হচ্ছিল। মক্কা শরীফে আমার কাছে সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশী ভাইয়েরা প্রায়ই বিভিন্ন সূরা নিয়ে আসে এগুলোর শাব্দিক অর্থ লিখে দেয়ার জন্য। কুরআনকে শব্দে শব্দে অর্থ জেনে হৃদয় দিয়ে বুঝতে আগ্রহী এমন সব লোকদের মধ্যে ইসলামী ও সাধারণ শিক্ষিত লোক, বুদ্ধিজীবী শ্রেণী এবং বেশ কিছু সংখ্যক ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার। কুরআন শিক্ষার প্রতি তাদের প্রবল আগ্রহ ও উদ্দীপনা এবং এ জাতীয় ধর্মপ্রাণ লোকদের ভীড় দেখেই আমি কুরআনের আয়াতের ধারাবাহিকতা অনুসারে এবং শব্দার্থ লিখায় হাত দিয়েছি। শব্দার্থ যেন যথাযথ ও সঠিক হয় যে জন্ম আরবী ভাষায় ‘আলমুফরাদত ফী গরীবিল কুরআন’ ও ‘কালীমাতুল কুরআন’ নামক করণের দু’টি বিখ্যাত অভিধান; ‘ছফওয়াতুত তাফসীর’ ও ‘ইবনে কাসীর’ নামক দু’টি তাফসীর; উর্দু ভাষায় কুরআনের অভিধান ‘গরীবুল কুরআন ফি লুগাতিল ফুরকান’ এবং বাংলা ভাষায় কুরআনের বিভিন্ন তাফসীর ও তর্জমা সামনে রেখে এর অর্থ লিখার কাজ করেছি। আরব ও বাংলাদেশ থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত তিনজন খ্যাতনামা আলেমের বইখানা সংশোধন করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
বইখানার শব্দ সাজানো পদ্ধতি কতটুকু যথাযথ হল তা পরীক্ষা করার জন্য আপাততঃ নব্বইটা আয়াতের শব্দার্থ পাঠক বর্গের সামনে রাখলাম। যদি মুসলিম মিল্লাত এ থেকে উপকৃত হয় এবং তাদের চাহিদা থাকে তাহলে বাকি অংশ সম্পন্ন করার জন্য ক্রমাগত কাজ চালিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ। যে মক্কা নগরীতে কুরআন নাযিল হয়েছিল আমি সে ভূমিতে বসেই এর অর্থ লিখার কাজ সম্পন্ন করেছি। আল্লাহ আমাদের সকলকে কুরআনের মর্মার্থ জানা, বুঝা ও আমল করার তৌফিক দেন করুন, আমীন।
الفاتحة |
البقرة |
উদ্বোধন: ২২ নভেম্বর ২০১৯ রোজ শুক্রবার
সম্মানিত পাঠকবৃন্দের নিকট সংশোধনী, মতামত, ও পরামর্শ আহ্বান।